চা আর কফিতে ক্যাফিন নামে একটি বস্তু থাকে তা অনেকেরই
জানা। এই ক্যাফিন এক ধরনের জ্যানথিন যৌগ (Xanthine Derivative)। এই জ্যানথিনের অন্য দুটি যৌগ হল থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন। চায়ে থাকে
থিওফাইলিন আর কফিতে থাকে থিওব্রোমিন। ক্যাফিন আমাদের শরীরে গিয়ে কিডনির ওপর বসে
থাকা অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে কিছুটা উত্তেজিত করে। যা খুব তাড়াতাড়া উত্তাজিত করে কেন্দ্রীয়
স্নায়ুতন্ত্রের সেরিব্রাল কর্টেক্সকে। ফলে চা কফি খেলে
শরীরে খানিকটা চাঙ্গা ভাব আসে, আলস্য কেটে যায়। এই ক্যাফিন আবার হৃদযন্ত্রকে খানিকটা
উত্তেজিত করে, বাড়ায় হৃদযন্ত্রের সঙ্কোচন ও প্রসারণ। ক্যাফিন, থিওফাইলিন,
থিওব্রোমিন তিনটেই কিডনির ওপর কাজ করে, বাড়ায় মুত্রের পরিমাণ। এরা প্রত্যেকেই
আমাদের শরীরের অনৈচ্ছিক মাংসপেশি গুলোকে খানিকটা শিথিল করে দেয়। ফুসফুসের
বাতাসবাহী নালী আর নালিকাগুলোর ওপর থিওফাইলিন আর থিওব্রোমিনের প্রভাব রয়েছে। এরা
এই নালীগুলোকে প্রসারিত করে ফুসফুসে অবাধ বায়ু চলাচলে সাহায্য করে। আর এই কারণে
হাঁপানির রোগীদের শ্বাসনালীর সঙ্কোচন কমাতে চা, কফি খানিকটা সাহায্য করতে পারে। সাময়িকভাবে
হলেও চা বা কফি খেলে হাঁপানির শ্বাসকষ্ট খানিকটা কমে।