দুই হাতের কব্জির অগ্রভাগে রেডিয়াস
নাড়ির স্পন্দন আঙ্গুল দ্বারা পরীক্ষা করার নাম নাড়ী পরীক্ষা। নাড়ী পরীক্ষার জন্য
পুরুষ মানুষের ডান হাত এবং স্ত্রী লোকের বাম হাত দেখা হয়। পরীক্ষকের তর্জনী,
মধ্যমা ও অনামিকা অঙ্গুল দ্বারা রুগীর রোগ পরীক্ষা করা হয়। মানুষের শরীরে এমন
স্পন্দন ৮ যায়গায় অনুভব হয়ে থাকে। তবে হাতের কব্জির স্পন্দনকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব
দেওয়া হয়। এই নাড়ী পরীক্ষা কবিরাজি চিকিৎসায় সব থেকে বিশ্বস্ত লক্ষণ ধরা হয়। এখানে
মৃত্য প্রায় ব্যাক্তির নাড়ীর লক্ষণ কেমন হয় তার একটি উদাহরণ দেওয়া হল।
১. যে রোগীর নাড়ী কিছুক্ষণ দ্রুত
বেগে চলাচল করে আবার শান্ত হয়ে যায় এবং তার শরীরে কোন রকম ফোলা ভাব নেই তবে সেই
রোগীর সাত থেকে আট দিনের মাথায় মৃত্যু হবে।
২. নাড়ী পরীক্ষার সময় যদি মধ্যমা ও
অনামিকা আঙ্গুলের নীচে নাড়ী স্পন্দন অনুভব না হয়ে কেবল তর্জনীর নীচে স্পন্দন অনুভব
হয় তবে চারদিনের মাথায় সেই ব্যক্তির মৃত্যু হবে।
৩. সান্নিপাতজ্বরে বা টাইফয়েডে যার
শারীরিক ব্যাথা বেদনা অনেক কিন্তু নাড়ী অত্যন্ত শীতল তার তিনদিন পরে মৃত্য
নিশ্চিত।
৪. যার নাড়ী অতিদ্রুতগতিতে দুই একবার
মাত্র স্পন্দন হওয়ার পরে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় তারপরে আবার এইভাবে স্পন্দন করে আবার
অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ভাবে থেমে থেমে স্পন্দন অনুভব হতে থাকলে সেই ব্যাক্তির মৃত্যু
একদিনের মধ্যেই হবে।
৫. যদি কারও তর্জনী আঙ্গুলের নীচে
নাড়ীর স্পন্দন প্রায়ই অনুভব হয় না আবার কখন কখন অনুভব হয় এমন ব্যাক্তির ১২ ঘণ্টার
মধ্যে মৃত্যু হবে।
৬. যার নাড়ী তর্জনী স্থালে বিদ্যুৎস্ফুরণের মতো মুহূর্তে মুহূর্তে স্পন্দন হতে থাকে তবে বুঝতে হবে তার আয়ু মাত্র একদিনের বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হবে।