দুধে ল্যাকটোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস নামের জীবাণু বংশবৃদ্ধি ঘটালে তরল দুধ জমাট বেঁধে দই হয়ে যায়। দুধকে ভাল করে ফুটিয়ে তাতে ল্যাকটোব্যাসিলাস সমৃদ্ধ সামান্য দই মিশিয়ে নির্দিষ্ট সময় স্থির অবস্থায় রেখে দিলে দই তৈরি হয়। ল্যাকটোব্যাসিলাসের প্রভাবে দুধের শর্করা ল্যাকটোজের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। দইতে এই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ল্যাকটিড অ্যাসিড থাকার জন্য দই খানিকটা টক হয়। দুধ আর দিইয়ের পুষ্টিমূল্য মোটামুটি একই। দুধের প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালোরি দইতে প্রায় একই থাকে। তাই যারা দুধ ঠিকমতো হজম করতে পরে না তারা দই খেতে পারে। এতে দুধের পুষ্টিমূল্য প্রায় সমান হওয়ায় নিরামিষাশীদের জন্যও দই দুধের ভালো বিকল্প খাবার। এতে অবার ভিটামিন এ থাকে দুধের থেকে দ্বিগুণ বেশী।